নিজস্ব প্রতিবেদক, জকিগঞ্জ টুডে:: সিলেটের জকিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। উপজেলার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর প্রায় ৩৮টি ক্ষতিগ্রস্থ ডাইক দিয়ে বানের পানি লোকালয়ে এসে ৯টি ইউপি প্লাবিত হয়েছে। বন্যার্ত মানুষের দুর্ভোগ বেড়েই চলছে। তলিয়ে গেছে জকিগঞ্জ-সিলেট সড়কের কিছু অংশ। সুরমা-কুশিয়ারায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। যার কারণে বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ১৫৬টি পরিবারের ৭৫৩ জন লোক আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যার্ত মানুষের জন্য সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ৩০ টন চাল ও নগদ সাড়ে ৫লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
বন্যা কবলিক বিভিন্ন এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানাগেছে, অনেকের ঘরে পানি উঠেছে। চুলায় রান্না করার মতো পরিস্থিতিও নেই। পানিতে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। কোথাও কোথাও রাস্তার উপর দিয়ে তীব্র ¯্রােতের কারণে চলাচল করা যাচ্ছেনা। গ্রাম এলাকায় নৌকার অভাবে অনেকে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। বিশুদ্ধ পানি ও শিশু খাদ্যর জন্য কষ্ট হচ্ছে। গৃহপালিত পশুপাখি নিয়েও অনেকে মারাত্মক বেকায়দায় পড়েছেন। বন্যার পানি বাড়ার কারণে এক সময় বসতঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে বলে অনেকে জানিয়েছেন।
ভিডিও দেখুন এই লিংকে ‘জকিগঞ্জ আই টিভি’
জকিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের এসডিই নিলয় পাশা জানিয়েছে, জকিগঞ্জ উপজেলার সুরমা-কুশিয়ারা নদীর প্রায় ৩৯টি স্থানের ডাইক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যা পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জকিগঞ্জের আমলশীদ সুরমা-কুশিয়ারার মিলনস্থলে বিপৎসীমার ১৮৬ সেন্টিমিটার দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.কে.এম ফয়সাল জানান, পৌর শহরের কিছু এলাকা ছাড়া পুরো উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে ৭৫৩ জন লোক আশ্রয় নিয়েছেন। সার্বক্ষণিক কন্ট্রোল রুম চালু রয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে লোকজনকে সহায়তা করতে প্রশাসন কাজ করছে। ইতিমধ্যে মোট ৩০ টন চাল ও নগদ সাড়ে ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ এসেছে। নগদ টাকা দিয়ে শুকনো খাবার বিতরণ করা হচ্ছে। বন্যায় এখনো কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
Leave a Reply